| নতুন ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর ২০ টি উপায় | How to increase website traffic |
নতুন ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর ২০ টি উপায় | How to increase website traffic
প্রিয় পাঠক, আসসালামু আলাইকুম। আপনার মনে হয়তো প্রশ্ন থাকতে পারে যে, ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বা ভিজিটর কি কিংবা ভিজিটর বলতে কি বুঝায়।{tocify} $title={Table of Contents}
ওয়েবসাইটের ভিজিটর কি?
ওয়েবসাইট ট্র্যাফিক বলতে কোনও ওয়েবসাইট পরিদর্শনকরী ওয়েব ব্যবহারকারীদের বোঝায়। ওয়েবসাইট ভিজিটর এমন কেউ যিনি আপনার ওয়েবসাইটটি দেখেন। খুব সহজ ভাষায় বলতে গেলে আমাদের ওয়েবসাইটের ট্রাফিক হলো আমাদের বাড়ির মেহমান বা গেস্ট এর মত।
ভিজিটর হল একটি ওয়েবসাইট/ব্লগের হার্টবিট। শুধুমাত্র আর্টিকেল লিখে পাবলিশ করলেই ব্লগিং এর কাজ শেষ হয়ে যায় না। ব্লগে ট্রাফিক বাড়ানোর জন্যও কাজ করতে হয়। ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর জন্য অনেক সময় ও পরিশ্রম করার মানসিকতা ও কৌশল এর প্রয়োজন হয়। আপনার যদি পরিশ্রম করার মানসিকতা ও সময় থাকে কিন্তু ব্লগে ভিজিটর বাড়ানোর কৌশল গুলো না জানেন, তাহলে আজকের এই পোস্ট আপনাকে অনেক সাহায্য করবে। আজকের পোস্ট-এ আমি কি কি উপায়ে ব্লগে ভিজিটর বাড়ানো যায় সেই বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
কিন্তু আপনি অনলাইন একটা লিখা শুধু বাংলাদেশের মানুষের নয় পুরো পৃথিবীর মানুষকে পড়াতে পারছেন সেটাও শুধু একটা আর্টিকেল লিখে।
অর্থ্যৎ যারাই ব্লগে বা তাদের ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর জন্য কাজ করবে তাহলে আপনি বুঝে নিবেন সে প্রফেশনাল এবং আয় বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করছে।
কারণ ব্লগের ভিজিটর বাড়ানোর মুল বিষয়টাই হলো আয় বাড়ানো। আর আয় বাড়ানোর জন্য ভিজিটর বাড়ানো ছাড়া কোন বিকল্প নেই। বিভিন্ন ভাবে ব্লগে বা ওয়েব সাইটে ভিজিটর বাড়ানো হয়ে থাকে।
ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বাড়ানোর ২০টি কার্যকারী উপায়
সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) এর মূল কাজই হলো ওয়েবসাইটকে সার্চ রেজাল্টের উপরে তুলে আনা। এটি শুরু করার আগে অনপেজ, অফপেজ, মেটা ট্যাগ, মেটা ডিস্ক্রিপশন, ইমেজ অপটিাইজেশন, কীওয়ার্ড রিসার্চ, ব্যাকলিংক এই ব্যাপার গুলো সম্পর্কে পরিপূর্ন ধারনা থাকা প্রয়োজন।
ওয়েবসাইটে ভিজিটর বৃদ্ধির জন্য জনপ্রিয় তিনটি প্ল্যাটফর্ম (Google, Bing, Yandex) এই সার্চ ইঞ্জিনগুলোতে আপনার ওয়েবসাইট সাবমিট করুন। তবে মনে রাখবেন সার্চ ইঞ্জিনগুলোর কাছে কনটেন্টের অন পেইজ এসইও সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ভিজিটর আনার জন্য আপনাকে অবশ্যই On-Page SEO সঠিক ভাবে করতে হবে। ব্লগের জন্য যখনই কোন পোস্ট লিখনেব সবসময় গুগল এসইও টেকনিকস গুলো মাথায় রাখবেন।
কনটেন্ট হল কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের তথ্য তুলে ধরার মাধ্যম বা কন্টেন্ট হল কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের তথ্য উপাত্ত কে বোধগম্য করার নমুনা। সেটা হতে পারে কোন টেক্সট, ইমেজ, ভিডিও কনটেন্ট, ডক ফাইল ইত্যাদি অনেক ধরনের কন্টেন্ট ই আছে।
আপনি ব্লগ লিখেন বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেন আপনাকে সবসময় অরিজিনাল, কার্যক্ষম, ইউনিক কোয়ালিটি আর্টিকেল পোস্ট দিতে হবে। আপনার লিখাটি এমন হবে যাতে করে ভিজিটর আপনার কাছ থেকে নতুন কিছু জানতে পারে। আর আর্টিকেল লিখার সময় কিওয়ার্ড ডেনসিটি এবং আর্টিকেলের ওয়ার্ড কাউন্টের বিষয়টি খেয়াল হবে ও অন-পেজ এসইও করতে হবে। যেমনঃ মেটা ট্যাগ, মেটা ডিস্ক্রিপশন সেট করতে হবে।
লেখার মাঝখানে কন্টেন্ট সম্পর্কিত ছবি বা ভিডিও দিবেন। এই ছবি বা ভিডিও কন্টেন্টের সৌন্দর্য যেমন বৃদ্ধি করে তেমনি কনটেন্ট এর SEO করতে অনেক সাহায্য করে। আপনি কন্টেন্টে ইমেজ বা ছবি ব্যবহার করবেন তার এসইও অপটিমাইজেশন করে নিবেন। ছবির টি রিনেম করে আপনার কন্টেন্ট এর টাইটেল টি লিখে দিবেন।তাহলে Google Search এ রেঙ্ক করতো অনেক সাহায্য করবে।
কনটেন্ট নিয়ে কিছু জনপ্রিয় অনলাইন টুলস
মনে রাখবেন ১০টি কপি পেস্ট করা পোষ্ট নাই ১০০০ হাজার ভিউ হবে, কিন্তু একটি ভালমানের পোষ্ট তার থেকে ১০ গুণ বেশী ভিউ হবে। তাহলে ভাবুন কোনটা ভাল? ১টি নাকি ১০টি? তাই বেশী বেশী পোষ্ট করার চেষ্টা না করে ইউনিক কোয়ালিটি আর্টিকেল পোস্ট করার চেষ্টা করুন। আশা করি ভাল রেজাল্ট পাবেন।
আপনি যদি সাইটে ভালো মানের কনটেন্ট দিতে পারেন তাহলে দেখবেন রাতারাতি আপনার ওয়েবসাইট ইনডেক্স হয়ে যাবে আর সেটি সার্চ ইঞ্জিনে লিস্টেড হয়ে যাবে এবং ভিসিটর আসতে থাকবে।
আমরা প্রতিদিন সকালে যেমন ফেসবুকের নোটিফিকেশন চেক করি উন্নত বিশ্বের মানুষ প্রতিদিন সকালে তাদের মেইল ইনবক্স চেক করেন। তাই আপনি চাইলে আপনার ব্লগের কমেন্ট, সাবস্ক্রাইব লিস্ট থেকে ইমেইল লিস্ট তৈরি করে ইমেইলে চাহিদা সম্পন্ন আর্টিকেলের সারাংশ লিখে তাদের পাঠান, এমনভাবে লিখবেন যেন তারা এটা পড়ার প্রয়োজন অনুভব করে।
ভিজিটর বাড়ানোর প্র্য়োজন কি ?
আসলে যারা প্রফেশনাল ব্লগিং করে আর যারা পারসোনাল ব্লগিং করে তাদের মধ্যে কিছু পার্থক্য আছে। আমাদের দেশে এমন অনেক মানুষ আছে যারা নিয়মিত ব্লগিং করে মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় করে থাকে।কিন্তু আপনি অনলাইন একটা লিখা শুধু বাংলাদেশের মানুষের নয় পুরো পৃথিবীর মানুষকে পড়াতে পারছেন সেটাও শুধু একটা আর্টিকেল লিখে।
অর্থ্যৎ যারাই ব্লগে বা তাদের ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর জন্য কাজ করবে তাহলে আপনি বুঝে নিবেন সে প্রফেশনাল এবং আয় বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করছে।
কারণ ব্লগের ভিজিটর বাড়ানোর মুল বিষয়টাই হলো আয় বাড়ানো। আর আয় বাড়ানোর জন্য ভিজিটর বাড়ানো ছাড়া কোন বিকল্প নেই। বিভিন্ন ভাবে ব্লগে বা ওয়েব সাইটে ভিজিটর বাড়ানো হয়ে থাকে।
ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বাড়ানোর ২০টি কার্যকারী উপায়
০১. গুগল এসইও / সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন (SEO)
নতুন কিংবা পুরনো যেকোনো ধরনের ওয়েবসাইটেই ভিজিটর বাড়ানোর অন্যতম প্রধান একটি উপায় সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন (SEO)। ওয়েবসাইটে ট্রাফিক এর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো অর্গানিক ট্রাফিক। সার্চ ইঞ্জিনগুলোতে কোনো কিছু সার্চ করার পর কেউ যদি আপনার ওয়েবসাইটটি সার্চলিস্টে খুঁজে পায় এবং সেখানে ক্লিক করে আপনার ওয়েবসাইটে ঢুকে পড়ে, তবে এধরণের ভিজিটকে অর্গানিক ট্রাফিক বলা হয়।সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) এর মূল কাজই হলো ওয়েবসাইটকে সার্চ রেজাল্টের উপরে তুলে আনা। এটি শুরু করার আগে অনপেজ, অফপেজ, মেটা ট্যাগ, মেটা ডিস্ক্রিপশন, ইমেজ অপটিাইজেশন, কীওয়ার্ড রিসার্চ, ব্যাকলিংক এই ব্যাপার গুলো সম্পর্কে পরিপূর্ন ধারনা থাকা প্রয়োজন।
ওয়েবসাইটে ভিজিটর বৃদ্ধির জন্য জনপ্রিয় তিনটি প্ল্যাটফর্ম (Google, Bing, Yandex) এই সার্চ ইঞ্জিনগুলোতে আপনার ওয়েবসাইট সাবমিট করুন। তবে মনে রাখবেন সার্চ ইঞ্জিনগুলোর কাছে কনটেন্টের অন পেইজ এসইও সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ভিজিটর আনার জন্য আপনাকে অবশ্যই On-Page SEO সঠিক ভাবে করতে হবে। ব্লগের জন্য যখনই কোন পোস্ট লিখনেব সবসময় গুগল এসইও টেকনিকস গুলো মাথায় রাখবেন।
০২. তথ্যবহুল আর্টিকেল/কনটেন্ট প্রকাশ করুন (Uuniqe Content/Article)
কনটেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়ানোর জন্য। অনেকে বলে এসইও করতে হবে ভিজিটর বাড়ানোর জন্য তবে জেনে রাখুন ভালো মানের কনটেন্ট না থাকলে SEO করলেও লাভ হবে না।কনটেন্ট হল কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের তথ্য তুলে ধরার মাধ্যম বা কন্টেন্ট হল কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের তথ্য উপাত্ত কে বোধগম্য করার নমুনা। সেটা হতে পারে কোন টেক্সট, ইমেজ, ভিডিও কনটেন্ট, ডক ফাইল ইত্যাদি অনেক ধরনের কন্টেন্ট ই আছে।
আপনি ব্লগ লিখেন বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেন আপনাকে সবসময় অরিজিনাল, কার্যক্ষম, ইউনিক কোয়ালিটি আর্টিকেল পোস্ট দিতে হবে। আপনার লিখাটি এমন হবে যাতে করে ভিজিটর আপনার কাছ থেকে নতুন কিছু জানতে পারে। আর আর্টিকেল লিখার সময় কিওয়ার্ড ডেনসিটি এবং আর্টিকেলের ওয়ার্ড কাউন্টের বিষয়টি খেয়াল হবে ও অন-পেজ এসইও করতে হবে। যেমনঃ মেটা ট্যাগ, মেটা ডিস্ক্রিপশন সেট করতে হবে।
লেখার মাঝখানে কন্টেন্ট সম্পর্কিত ছবি বা ভিডিও দিবেন। এই ছবি বা ভিডিও কন্টেন্টের সৌন্দর্য যেমন বৃদ্ধি করে তেমনি কনটেন্ট এর SEO করতে অনেক সাহায্য করে। আপনি কন্টেন্টে ইমেজ বা ছবি ব্যবহার করবেন তার এসইও অপটিমাইজেশন করে নিবেন। ছবির টি রিনেম করে আপনার কন্টেন্ট এর টাইটেল টি লিখে দিবেন।তাহলে Google Search এ রেঙ্ক করতো অনেক সাহায্য করবে।
কনটেন্ট নিয়ে কিছু জনপ্রিয় অনলাইন টুলস
- কনটেন্ট রাইটার
- ইউনিক কন্টেন্ট চেকার
- ব্যাকরণ পরীক্ষক
মনে রাখবেন ১০টি কপি পেস্ট করা পোষ্ট নাই ১০০০ হাজার ভিউ হবে, কিন্তু একটি ভালমানের পোষ্ট তার থেকে ১০ গুণ বেশী ভিউ হবে। তাহলে ভাবুন কোনটা ভাল? ১টি নাকি ১০টি? তাই বেশী বেশী পোষ্ট করার চেষ্টা না করে ইউনিক কোয়ালিটি আর্টিকেল পোস্ট করার চেষ্টা করুন। আশা করি ভাল রেজাল্ট পাবেন।
আপনি যদি সাইটে ভালো মানের কনটেন্ট দিতে পারেন তাহলে দেখবেন রাতারাতি আপনার ওয়েবসাইট ইনডেক্স হয়ে যাবে আর সেটি সার্চ ইঞ্জিনে লিস্টেড হয়ে যাবে এবং ভিসিটর আসতে থাকবে।
০৩. পোস্টে আকর্ষণীয় টাইটেল ব্যবহার করুন (Effective Title)
গুগল সার্চ ইঞ্জিন র্যাংকিং এবং ওয়েব সাইটে ভিজিটর বাড়ানোর জন্য পোস্টের টাইটেলের গুরুত্ব অপরিসীম। আপনার ব্লগ সার্চ ইঞ্জিনে র্যাংক করা সত্বেও পর্যাপ্ত ভিজিটর না আসতেও পারে। কেননা, পোস্টের টাইটেলের উপর নির্ভর করে ভিজিটর ক্লিক করবে কি করবে না। এতে আপনার ওয়েব সাইটের CTR কমে যাবে এবং একটা সময় আপনার ব্লগ সার্চ ইঞ্জিন র্যাংকিং অনেক নিচে নেমে যাবে। সুতরাং আপনার আর্টিকেলের একটি আকর্ষণীয় টাইটেল ব্যবহার করুন এবং অবশ্যই এসইও ফ্রেন্ডলি। অর্থাৎ টাইটেলের মধ্যে আপনার টার্গেটেড কি-ওয়ার্ড যুক্ত করবেন।০৪. ইমেইল মার্কেটিং (Email Marketing)
ইমেইলের মাধ্যমে একসাথে অনেক মানুষকে পন্য বা সেবা সম্পর্কে মার্কেটিং করার নামই হলো ইমেইল মার্কেটিং। আমাদের দেশে এটি ততটা জনপ্রিয় না হলেও উন্নত বিশ্বে ইমেইল মার্কেটিং জনপ্রিয় মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হয়।আমরা প্রতিদিন সকালে যেমন ফেসবুকের নোটিফিকেশন চেক করি উন্নত বিশ্বের মানুষ প্রতিদিন সকালে তাদের মেইল ইনবক্স চেক করেন। তাই আপনি চাইলে আপনার ব্লগের কমেন্ট, সাবস্ক্রাইব লিস্ট থেকে ইমেইল লিস্ট তৈরি করে ইমেইলে চাহিদা সম্পন্ন আর্টিকেলের সারাংশ লিখে তাদের পাঠান, এমনভাবে লিখবেন যেন তারা এটা পড়ার প্রয়োজন অনুভব করে।
কেন করবেন ইমেইল মার্কেটিং?
- অল্প সময়ে বেশি প্রচার করা যায়
- ২০২২ সালে বিশ্বের প্রায় ৪১০ কোটি মানুষ ইমেইল ব্যবহার করেন
- ১ ডলার খরচ করে ৪২ ডলার লাভ করা সম্ভব
- ইমেইলের মাধ্যমে রি-মার্কেটিং করে ৬৯% সফলতা
- ওয়েলকাম ইমেইল অপেন রেট ৮০%
- নির্দিষ্ট সময়ে গ্রাহকের কাছে পৌঁছানো সম্ভব
জনপ্রিয় ইমেইল সার্ভিস প্রোভাইডার
ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে সারা বিশ্বের মানুষের আনাগোনা। আপনি আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটে ভিজিটর বৃদ্ধির জন্য নিজের ওয়েবসাইট রিলেটেড পেজ খুলতে পারেন। এরপর নিজের আর্টিকেলের লিংকসহ মানুষকে আকৃষ্ট করার মতো পোস্ট শেয়ার করতে পারেন। এতে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে খুব সহজেই অনেক অনেক ভিজিটর নিয়ে আসতে পারবেন।
ব্যাকলিংক প্রধানত দুই রকমের হয়ে থাকে
০৫. সামাজিক মাধ্যম/সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার (Social Media Share)
একটি ওয়েবসাইট যখন নতুন তখন সে ওয়েবসাইট সম্পর্কে কেউ জানে না। তাই আপনার ওয়েবসাইটের টার্গেটেড ভিজিটরদের কাছে পৌছানোর সব থেকে সহজ এবং কার্যকরী উপায় হতে পারে সোশ্যাল মিডিয়া।ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে সারা বিশ্বের মানুষের আনাগোনা। আপনি আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটে ভিজিটর বৃদ্ধির জন্য নিজের ওয়েবসাইট রিলেটেড পেজ খুলতে পারেন। এরপর নিজের আর্টিকেলের লিংকসহ মানুষকে আকৃষ্ট করার মতো পোস্ট শেয়ার করতে পারেন। এতে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে খুব সহজেই অনেক অনেক ভিজিটর নিয়ে আসতে পারবেন।
০৬. ব্যাকলিংক তৈরী করুন (Build Backlinks)
এসইও এর জন্য ব্যাকলিংক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাকলিংক হচ্ছে কোন ওয়েবসাইট থেকে আপনার ওয়েবসাইটকে লিংক করা। আপনার ওয়েবসাইটের কোনো লিংক যদি অন্য আরেকটি ওয়েবসাইটে থাকে তাহলে সেটা আপনার সাইটের ব্যাকলিংক।ব্যাকলিংক প্রধানত দুই রকমের হয়ে থাকে
- dofollow
- nofollow
Dofollow ব্যাকলিংকগুলি হল এসইও এর জন্য সব থেকে ব্যাবহৃত এবং গুরুত্বপূর্ণ। যখন আপনি সাইটে dofollow লিংক ব্যবহার করেন তখন গুগল সহ অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনকে বোঝান যে এই লিংকটি গুরুত্বপূর্ণ এবং এটিকে যাতে চিহ্নিত করা হয়।
ব্যাকলিংক করার আগে এই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবেঃ-
কিভাবে ব্যাকলিংক করবেনঃ-
তবে খেয়াল রাখতে হবে ফোরাম সাইট কিংবা প্রশ্ন-উত্তর সাইট গুলোতে উত্তর দেয়ার সময় সেটা যেনো সঠিক নিয়মে করা হয়। অনেক ফোরাম সাইট আছে যেগুলো অন্য ওয়েবসাইটের লিংক শেয়ার করা পছন্দ করে না। তো এসকল সাইটে কাজ শুরু করার আগেই আপনাকে এদের নিয়মগুলি ভালো ভাবে দেখে নিতে হবে।
তবে খেয়াল রাখবেন থাম্বনেইল অতিরিক্ত বড় বা ফাইল সাইজ বড় হলে পেজ লোডিং হতে অনেক সময় লাগবে, যার ফলে ওয়েবসাইট স্লো হয়ে যাবে। অনেকে আছে হাই রেজুলেশন ছবি দের যার ফাইল সাইজ ১এম্বির উপড়ে। আপনি যদি ২ এম্বির একটা থাম্বনেইল সেট করে থাকেন। ভিজিটর যখন ঐই পেজে ভিজিট করতে যাবে তখন তার ২ এম্বির বেশী লোড নিবে, অর্থাৎ তার ডাটা প্যাকেজ থেকে ২এম্বি বেশী কাটবে। এবং লোড হতেও অনেক বেশী সময় লাগবে।
তাই চেস্টা করবেন মিডিয়াম রেজুলেশনের ভীতরে আকর্ষনীয় একটি ছবি দিতে।
থাম্বনেইল সাইজ
লোডিং স্পিড ফাস্ট করার জন্য কি কি করতে হবেঃ
Website Speed Test এই টুলস এর মাধমে জানতে পারবেন লোড হতে কত সময় লাগে, CSS, JS, Image কতগুলো ফাইল আছে ও ফাইল সাইজ।
কিছু জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং সাইট
প্রশ্ন আসতে পারে ওয়বেসাইটের বাউন্স রেট এর স্টান্ডার্ড % কতো।
বাউন্স রেট স্টান্ডার্ড
Google Analytics এর মাধ্যমে জানতে পারবেন কোথায় থেকে আপনার সাইটে ভিজিটর আসে, তারা কোন পেজে বেশি যান, কোন বিষয়ে তাদের আগ্রহ বেশি, কত সময় ধরে দেখেন, তারা কি ব্রাউজার ব্যাবহার করে, কম্পিউটার নাকি মোবাইল থেকে ভিজিট করেছে, তারা কোন বয়সের, টোটার কতজন ভিজিট করেছে, পেজ ভিউ কত, ভিজিট শেষে তারা কোথায় যাচ্ছেন এই ধরনের আর অনেক কিছু জানতে পারবেন অর্থাৎ ওয়েবসাইট এনালাইটিক্সের সুবিধা নেওয়া যাবে।
এই টুলস গুলো ব্যাবহার করতে পারবেনঃ-
এখন স্মার্টফোনের যুগ হওয়ায় ফোন থেকেই ওয়েবসাইট সার্চ বেশি হয়ে থাকে। তাই ফোন থেকে ভিজিটরের পরিমান অনেক বেশি। তাই সাইটের মোবাইল ভার্সন বা রেসপন্সিভ ডিজাইন থাকা আবশ্যক। খেয়াল রাখতে হবে মোবাইল ভার্সনে স্বল্প সময়ে সাইট লোড হলে এবং সুন্দর ও পরিষ্কারভাবে পড়া গেলে তা পাঠকপ্রিয় হবে।
শুধু সুন্দর লুক দেখেই থিম পছন্দ করলে হিতে বিপরীত হবার সম্ভাবনা রয়েছে। আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটে ব্যবহৃত টেম্পলেট যত বেশি ফাস্ট লোডিং এবং লাইট-ওয়েট হবে, আপনার সার্চ ইঞ্জিনে র্যাঙ্ক করার সম্ভাবনা তত বেশি বৃদ্ধি পাবে। সহজেই নেভিগেশন করা যায় এমন থিম পছন্দ করুন। সাইডবারে আলাদাভাবে ক্যাটাগরির ব্যবস্থা করা এবং আর্টিকেল এর শেষে রিলেটেড পোষ্ট রাখা। এতে করে ভিজিটর খুব সহজেই আপনার অন্যান্য আর্টিকেল গুলো খুঁজে পাবে। সর্বোপরি আপনার ব্যবহৃত থিমটি অবশ্যই ইউজার ফ্রেন্ডলি হতে হবে।
পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ও জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হল গুগল। আমরা যেকোনো কিছু খুঁজার বা জানার জন্য গুগলে সার্চ করি। সার্চ ইঞ্জিন গুলি হল বিজ্ঞাপন দেওয়ার সব চাইতে উর্বর ভূমি মানে বিজ্ঞাপন দেওয়ার বিখ্যাত প্লাটফর্ম। তারা আসলে সেই বিজ্ঞাপন গুলিই আপনার সামনে নিয়ে আসবে যেইগুলি আসলে সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারকারিরা সন্ধান করেন। আর পেইড মার্কেটিং করার জন্য গুগলের একটি পেইড সার্ভিস “Google Ads“। আপনি চাইলে আপনার ওয়েবসাইটের বিজ্ঞাপন দিতে পাড়বেন। আপনি জদি Google Ads ঠিকঠাক ভাবে সেট করতে পারেন তাহলে ১০০% সফলতা পাবেন।
আবার সোশ্যাল সাইটগুলোতে ওয়েবসাইটের জন্য তৈরী করা পেইজের বিজ্ঞাপন দিন। বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হলো ফেইসবুক। ফেইসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে অন্য যেকোনো সোশ্যাল মিডিয়া অপেক্ষা বেশি ট্রাফিক পাওয়া সম্ভব। ফেইসবুকের এ্যালগরিদম অনুযায়ী সাধারন পেইজগুলোর পোস্ট মোট ফলোয়ারের মাত্র ৩০-৪০ শতাংশ বা তারও কম অংশের হোমপেইজে দেখানো হয়। কিন্তু আপনি যদি ফেইসবুকে বিজ্ঞাপন দেন, তাহলে আরো বেশি মানুষের কাছে আপনার পেইজের পোস্ট ছড়িয়ে পড়বে।
আপনার ওয়েবসাইটটি কী সম্পর্কিত সেই বিষয়ে প্রাসঙ্গিক কোনো কী ওয়ার্ড কোনো ভিজিটর সার্চ করলেই আপনার ওয়েবসাইট চলে আসবে৷ ফলে কোনো পরিশ্রম না করেই এমনিতেই ভিজিটর পেয়ে যাবেন৷ ঠিক সেই জন্যে আপনাকে মানসম্মত আর্টিকেল পাবলিশ করতে হবে এবং সাইটটিকে সার্চ ইঞ্জিনে সাবমিট করতে হবে৷
একটি মান সম্মত আর্টিকেল লিখতে নিম্নোক্ত বিষয় মাথায় রাখতে হবে :
► প্রথমত, ১০০০ থেকে সর্বোচ্চ ২০০০ শব্দের মধ্যে একটি কোয়ালিটি সম্পন্ন আর্টিকেল লিখতে হবে৷
► আটিকেলটিতে প্রাইমারি কি-ওয়ার্ডকে তিন (৩) বার ও বাকিগুলো প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে৷
► একটি ইউনিক আর্টিকেল লিখুন৷
► আপনার আর্টিকেলটি অন্য সাইটে না দিয়ে শুধু আপনার সাইটে পাবলিশ করুন। এখন আপনার অরিজিনাল আর্টিকেলটি রিরাইট করে আর্টিকেল সাবমিশন টুল ব্যবহার করে সাবমিট করতে হবে
আপনার লেন্সে ঐ বিজ্ঞাপনগুলি প্রদর্শনের মাধ্যমে স্কুইডো যে পরিমান অর্থ আয় করবে তার অর্ধেক আপনাকে পেপাল বা অন্যান্য মাধ্যমে দেওয়া হবে৷
ব্যাকলিংক করার আগে এই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবেঃ-
- যেখান থেকে ব্যাকলিংক নিচ্ছেন সেটি কি অথোরিটি সাইট কি না
- সেখানকার ইনডেক্স পেজ কেমন
- ডু-ফলো নাকি নো-ফলো
- ব্যাকলিংক টি আপনার সাইটের সাথে রিলেটেড হবে কি না
- সাইট PR (পেজ র্যাঙ্ক) কেমন
- ডোমেইন এবং পেজ অথোরিটি কেমন
কিভাবে ব্যাকলিংক করবেনঃ-
- Social networking site profiles
- Quora question and answer website
- Blog commenting
- Directory submission sites
- Guest posting
- YouTube video commenting and more
০৭. ফোরাম/কোরা সাইট গুলোতে পোস্ট শেয়ার করুন (Forum Posting)
ওয়েবসাইটে ভিজিটর আনার অরেকটি চমৎকার উপায় হলো ফোরাম বা ব্লগ পোষ্টিং এবং প্রশ্ন-উত্তর সাইট। ফোরাম এবং প্রশ্ন উত্তর সাইট গুলোতে মানুষ বিভিন্ন ব্যাপারে জানতে চেয়ে পোষ্ট করে। সেখানে ভিজিটর যে বিষয়ে জানতে চায় সে সম্পর্কে কিছু ইনফরমেশন দিয়ে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক দিয়ে দিলে ওই সাইট গুলো থেকে ট্রাফিক আপনার সাইটে আসবে এবং সার্চ ইন্জিনে রাঙ্ক করতে সাহায্য করবে।তবে খেয়াল রাখতে হবে ফোরাম সাইট কিংবা প্রশ্ন-উত্তর সাইট গুলোতে উত্তর দেয়ার সময় সেটা যেনো সঠিক নিয়মে করা হয়। অনেক ফোরাম সাইট আছে যেগুলো অন্য ওয়েবসাইটের লিংক শেয়ার করা পছন্দ করে না। তো এসকল সাইটে কাজ শুরু করার আগেই আপনাকে এদের নিয়মগুলি ভালো ভাবে দেখে নিতে হবে।
০৮. ব্লগের ছবি অপটিমাইজ করে নিন (Thumbnail Picture)
থাম্বনেইল মানে হলো একটি ফটো বা চিত্র যাকে আপনি পোস্টার ও বলতে পারেন। ফটো / ইমেজ যেকোনো ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়াতে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে থাকে। সোশ্যাল মিডিয়া এবং অন্যন্ন প্লাটফর্মে একটি সুন্দর আইক্যাচি ফটোর সাথে ওয়েবসাইটের লিংক দেয়া থাকলে নরমাল যেকেনো সময়ের থেকে ওয়েবসাইট বেশি ভিজিটর পেয়ে থাকে।তবে খেয়াল রাখবেন থাম্বনেইল অতিরিক্ত বড় বা ফাইল সাইজ বড় হলে পেজ লোডিং হতে অনেক সময় লাগবে, যার ফলে ওয়েবসাইট স্লো হয়ে যাবে। অনেকে আছে হাই রেজুলেশন ছবি দের যার ফাইল সাইজ ১এম্বির উপড়ে। আপনি যদি ২ এম্বির একটা থাম্বনেইল সেট করে থাকেন। ভিজিটর যখন ঐই পেজে ভিজিট করতে যাবে তখন তার ২ এম্বির বেশী লোড নিবে, অর্থাৎ তার ডাটা প্যাকেজ থেকে ২এম্বি বেশী কাটবে। এবং লোড হতেও অনেক বেশী সময় লাগবে।
তাই চেস্টা করবেন মিডিয়াম রেজুলেশনের ভীতরে আকর্ষনীয় একটি ছবি দিতে।
থাম্বনেইল সাইজ
- 1200 x 630 pixels অথবা 1200 x 628 pixels
- 660 x 480 pixels
- 600 x 315 pixels
০৯. আপনার ব্লগ নিয়মিত আপডেট করুন
সাধারণত অনেক ব্লগার এই ভুলটি করে থাকেন। এবং কন্টেন্ট নিয়মিত আপডেট না করার কারনে তারা প্রতিদিন অনেক ভিজিটর হারান। সুতারং আপনার ওয়েব সাইটের কন্টেন্ট নিয়মিত আপডেট করুন। আপনার কন্টেন্ট আপডেট থাকে কোয়ালিটি ঠিক থাকে ফলে আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিকও বাড়বে।১০. গেষ্ট পোস্ট করুন (Guest Post)
অনেক ওয়েবসাইট আছে যারা ফ্রি বা পেইড ভিত্তিতে তাদের সাইটে গেস্ট পোস্ট করার সুযোগ দিয়ে থাকেন। গেস্ট পোস্টিং এর মাধ্যমে আপনি ওই সব সাইট থেকে আপনার ওয়েব সাইটে ট্রাফিক নিয়ে আসতে পারবেন পাশাপাশি কিছু কোয়ালিটি ব্যাকলিংক ও তৈরী করতে পারবেন।১১. ওয়েবসাইট স্পীড (Website Speed)
যেকোনো সার্চ ইঞ্জিনে র্যাঙ্ক করার ক্ষেত্রে ব্লগ বা ওয়েবসাইটের স্পিড খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে ওয়েবসাইট এর স্পিড যত বেশি গুগল সর্বদা র্যাঙ্কের ক্ষেত্রে সেই ওয়েবসাইটকে এগিয়ে রাখে।লোডিং স্পিড ফাস্ট করার জন্য কি কি করতে হবেঃ
- ভালো মানের হোস্টিং ব্যবহার করতে হবে
- সঠিক ভাবে কনফিগার করতে হবে
- ফাস্ট লোডিং থিম ব্যাবহার করতে হবে
- অতিরিক্ত প্লাগিন ব্যবহার না করা
- ইমেজ অপটিমাইজ করতে হবে
Website Speed Test এই টুলস এর মাধমে জানতে পারবেন লোড হতে কত সময় লাগে, CSS, JS, Image কতগুলো ফাইল আছে ও ফাইল সাইজ।
১২. ভিডিও মার্কেটিং (Video Marketing)
ভিডিও মার্কেটিং হতে পারে ওয়েবসাইটে ভিজিটর আনার আরেকটি মাধ্যম। ভিডিও শেয়ারিং ওয়বেসোইট গুলোতে নিশ রিলেটেড ভিডিও পোষ্ট করে ডিসক্রিপশনে ওয়েবসাইটের লিংক শেয়ার করলে ওই ভিডিও থেকে ভিজিটরকে নিজের ওয়বেসাইটে পাঠিয়ে ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়ানো যেতে পারে। এক্ষেত্রে ফ্রি ইউটিউব ব্যাকলিংক জেনারেটর ব্যাবহার করতে পারেন।কিছু জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং সাইট
১৩. পোস্টে ইন্টারনাল লিংক করুন (Post Internal Link)
আপনার ব্লগে যখন কোন নতুন পোস্ট দিবেন তখন সেখানে ইন্টারনাল লিঙ্কিং করতে ভুলবেন না। এতে আপনার ব্লগে ভিজিটর অনেকক্ষণ থাকবে। যেমন আপনার ব্লগটি “টিপস এন্ড ট্রিক্স” রিলেটেড আর আপনি সেখানে পোস্ট দিচ্ছেন “ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টলের পর যা করতে হবে” এখন আপনার ব্লগে যদি সেম টাইপের অন্য কোন পোস্ট থাকে তবে এটিকে তার সাথে লিংকআপ করে দেন। তখন আপনার ভিসিটর সেই পোস্টটি পড়বে আর এটি আপনার ব্লগের বাউন্সরেট কমাতে সাহায্য করবে।১৪. বাউন্স রেট খেয়াল রাখা
বাউন্স রেট সব সময় % হিসেবে প্রকাশ করা হয়। বাউন্স রেট হলো এমন একটা % যেটা দ্বারা বোঝানো হয় “আপনার ওয়েসাইটে আসার পর মোট ভিজিটরের কতো % অন্য পেজ ভিজিট না করেই বন্ধ করে দিয়েছে” অর্থা যদি আপনার ওয়েবসাইটের মোট ভিজিটর যদি হয় ১০০ জন তার মধ্যে ৬০ জন্যই আপনার হোম পেজ লোড হওয়ার পর অণ্য কোনো পেজ ভিজিট না করেই আপনার ওয়েবসাইট টি বন্ধ করে দেয় তবে আপনার ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট হবে ৬০%।প্রশ্ন আসতে পারে ওয়বেসাইটের বাউন্স রেট এর স্টান্ডার্ড % কতো।
বাউন্স রেট স্টান্ডার্ড
- ৩০% এর নিচে খুব ভালো
- ৪১% – ৫৫% ভালো
- ৫৬% – ৭০% খুব ভালো নয়
- ৭০% এর বেশি খুব খারাপ
১৫. পর্যবেক্ষণ (Google Analytics)
ওয়েবসাইটে আসা ভিজিটর সম্পর্কে তথ্যাদি পেতে ওয়েব এনালাইটিক্স ব্যবহার করা একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। গুগল এনালাইটিক্স সব থেকে জনপ্রিয় এনালাইটিক্স টুলস। এই টুলসের সাহায্যে আমরা কোন ওয়েবসাইটের সমস্ত ভিসিটর স্ট্যাটিসটিকস জানতে পারি। ডিজিটাল মার্কেটিং এর জগতে গুগল এনালাইটিক্স একটি খুবই পরিচিত নাম।Google Analytics এর মাধ্যমে জানতে পারবেন কোথায় থেকে আপনার সাইটে ভিজিটর আসে, তারা কোন পেজে বেশি যান, কোন বিষয়ে তাদের আগ্রহ বেশি, কত সময় ধরে দেখেন, তারা কি ব্রাউজার ব্যাবহার করে, কম্পিউটার নাকি মোবাইল থেকে ভিজিট করেছে, তারা কোন বয়সের, টোটার কতজন ভিজিট করেছে, পেজ ভিউ কত, ভিজিট শেষে তারা কোথায় যাচ্ছেন এই ধরনের আর অনেক কিছু জানতে পারবেন অর্থাৎ ওয়েবসাইট এনালাইটিক্সের সুবিধা নেওয়া যাবে।
এই টুলস গুলো ব্যাবহার করতে পারবেনঃ-
- Website Analyzer Tool
- Visitor Counter
- Keyword Suggestion Tool
- Link Analyzer
- Moz Backlink Extractor
১৬. মোবাইল উপযোগী সাইট (Responsive Website)
রেসপন্সিভ বলতে বুঝানো হয়েছে যে সাইট গুলো ডেস্কটপ, ল্যাপটপ, ফোন, ট্যাবলেট সবকিছুতেই সমান ভাবে ইউজার ফ্রেন্ডলি লোড নিতে পারে এবং ডাটা রিসিভ করতে কোনো সমস্যা হয় না। রেসপন্সিভ সাইট কিরতে সঠিক থিম নির্বাচন করতে হবে।এখন স্মার্টফোনের যুগ হওয়ায় ফোন থেকেই ওয়েবসাইট সার্চ বেশি হয়ে থাকে। তাই ফোন থেকে ভিজিটরের পরিমান অনেক বেশি। তাই সাইটের মোবাইল ভার্সন বা রেসপন্সিভ ডিজাইন থাকা আবশ্যক। খেয়াল রাখতে হবে মোবাইল ভার্সনে স্বল্প সময়ে সাইট লোড হলে এবং সুন্দর ও পরিষ্কারভাবে পড়া গেলে তা পাঠকপ্রিয় হবে।
শুধু সুন্দর লুক দেখেই থিম পছন্দ করলে হিতে বিপরীত হবার সম্ভাবনা রয়েছে। আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটে ব্যবহৃত টেম্পলেট যত বেশি ফাস্ট লোডিং এবং লাইট-ওয়েট হবে, আপনার সার্চ ইঞ্জিনে র্যাঙ্ক করার সম্ভাবনা তত বেশি বৃদ্ধি পাবে। সহজেই নেভিগেশন করা যায় এমন থিম পছন্দ করুন। সাইডবারে আলাদাভাবে ক্যাটাগরির ব্যবস্থা করা এবং আর্টিকেল এর শেষে রিলেটেড পোষ্ট রাখা। এতে করে ভিজিটর খুব সহজেই আপনার অন্যান্য আর্টিকেল গুলো খুঁজে পাবে। সর্বোপরি আপনার ব্যবহৃত থিমটি অবশ্যই ইউজার ফ্রেন্ডলি হতে হবে।
১৭. পেইড মার্কেটিং (Paid Marketing or PPC)
মার্কেটিং শব্দটি ল্যাটিন শব্দ “marketus” হতে “market” এবং এর থেকে marketing শব্দের উৎপত্তি। Marketing এর বাংলা পারিভাষিক শব্দ হলো বাজারজাতকরণ। মার্কেটিং করতে হলে অবশ্যই এর মৌলিক ধারণা থাকতে হবে। ক্রেতাদের প্রয়োজন, অভাব, চাহিদা, পণ্য, সেবা, ভ্যালু, সন্তুষ্টি, বিনিময়, লেনদেন এবং বাজার ইত্যাদি অন্তর্নিহিত উপাদানকে মার্কেটিং বা বাজারজাতকরণের মৌলিক ধারণা বলে।পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ও জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হল গুগল। আমরা যেকোনো কিছু খুঁজার বা জানার জন্য গুগলে সার্চ করি। সার্চ ইঞ্জিন গুলি হল বিজ্ঞাপন দেওয়ার সব চাইতে উর্বর ভূমি মানে বিজ্ঞাপন দেওয়ার বিখ্যাত প্লাটফর্ম। তারা আসলে সেই বিজ্ঞাপন গুলিই আপনার সামনে নিয়ে আসবে যেইগুলি আসলে সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারকারিরা সন্ধান করেন। আর পেইড মার্কেটিং করার জন্য গুগলের একটি পেইড সার্ভিস “Google Ads“। আপনি চাইলে আপনার ওয়েবসাইটের বিজ্ঞাপন দিতে পাড়বেন। আপনি জদি Google Ads ঠিকঠাক ভাবে সেট করতে পারেন তাহলে ১০০% সফলতা পাবেন।
আবার সোশ্যাল সাইটগুলোতে ওয়েবসাইটের জন্য তৈরী করা পেইজের বিজ্ঞাপন দিন। বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হলো ফেইসবুক। ফেইসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে অন্য যেকোনো সোশ্যাল মিডিয়া অপেক্ষা বেশি ট্রাফিক পাওয়া সম্ভব। ফেইসবুকের এ্যালগরিদম অনুযায়ী সাধারন পেইজগুলোর পোস্ট মোট ফলোয়ারের মাত্র ৩০-৪০ শতাংশ বা তারও কম অংশের হোমপেইজে দেখানো হয়। কিন্তু আপনি যদি ফেইসবুকে বিজ্ঞাপন দেন, তাহলে আরো বেশি মানুষের কাছে আপনার পেইজের পোস্ট ছড়িয়ে পড়বে।
১৮. ওয়েবাসাইটটি সার্চ ইঞ্জিনে সাবমিট করা (Google Search Console)
আপনার ওয়েবাসাইটে প্রত্যাশিত ভিজিটর পাওয়ার অন্যতম প্রধান উপায় হলো আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটটি সার্চ ইঞ্জিনে যোগ করা৷ সার্চ ইঞ্জিন থেকে মানুষ সার্চ করে বিভিন্ন তথ্য সাধারণত খুঁজে থাকে৷ আপনার ওয়েবসাইটটি যদি সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পেজে আনতে পারেন, তবে ভালো পরিমাণ অর্গানিক ভিজিটর পাবেন৷ যার জন্য আপনাকে খুব বেশি কষ্ট করতে হবে না৷আপনার ওয়েবসাইটটি কী সম্পর্কিত সেই বিষয়ে প্রাসঙ্গিক কোনো কী ওয়ার্ড কোনো ভিজিটর সার্চ করলেই আপনার ওয়েবসাইট চলে আসবে৷ ফলে কোনো পরিশ্রম না করেই এমনিতেই ভিজিটর পেয়ে যাবেন৷ ঠিক সেই জন্যে আপনাকে মানসম্মত আর্টিকেল পাবলিশ করতে হবে এবং সাইটটিকে সার্চ ইঞ্জিনে সাবমিট করতে হবে৷
১৯. আর্টিকেল মার্কেটিং (Articel Marketing)
ওয়েবসাইটে মান সম্পন্ন ভিজিটর আনার সহজ পন্থা হলো আর্টিকেল মার্কেটিং৷ আপনার আর্টিকেল যদি মানসম্মত হয়,পাঠক পড়ে যদি সন্তুষ্ট ও আকর্ষণ অনুভব করে তবে ভিজিটরের মন জয় করে নিজের ওয়েবসাইটে আনতে পারবেন অসংখ্য ট্রাফিক৷একটি মান সম্মত আর্টিকেল লিখতে নিম্নোক্ত বিষয় মাথায় রাখতে হবে :
► প্রথমত, ১০০০ থেকে সর্বোচ্চ ২০০০ শব্দের মধ্যে একটি কোয়ালিটি সম্পন্ন আর্টিকেল লিখতে হবে৷
► আটিকেলটিতে প্রাইমারি কি-ওয়ার্ডকে তিন (৩) বার ও বাকিগুলো প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে৷
► একটি ইউনিক আর্টিকেল লিখুন৷
► আপনার আর্টিকেলটি অন্য সাইটে না দিয়ে শুধু আপনার সাইটে পাবলিশ করুন। এখন আপনার অরিজিনাল আর্টিকেলটি রিরাইট করে আর্টিকেল সাবমিশন টুল ব্যবহার করে সাবমিট করতে হবে
২০. ইয়াহুুর প্রশ্নের উত্তর করা (Yahoo Qustion Answer)
ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর অন্যতম একটি মাধ্যম হলো ইয়াহু আনসার৷ আপনি নিয়মিত ইয়াহু আনসার ওয়েবসাইটে প্রশ্ন-উত্তর পর্বে অংশগ্রহন করে আপনার সাইটে ভিজিটের বন্যা বয়ে দিতে পারবেন৷ আপনি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে নিজের ওয়েবসাইটের লিংক নো ফলো লিংক তৈরি করতে পারবেন৷ কারণ ইয়াহু আপনার দেওয়া সাইটের লিংকটি কখনোই ডু- ফলো লিংক হিসেবে বিবেচনা করবে না৷ তবে অনেক ভিজিটর পাবেন, এটা নিশ্চিত!বোনাস টিপস
স্কুইডো
আর্টিকেল লিখে অর্থোপার্জনের জন্য একটি বিশ্বাসযোগ্য ও বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় সাইট হলো স্কুইডো।এই সাইটের ভিজিটর সংখ্যাও অনেক বেশি। এখানে আপনি যে নিশ সম্পর্কিত আর্টিকেল লিখতে পারবেন৷ স্কুইডো সাইটে আর্টিক্যালগুলিকে সাধারণত লেন্সে নামে অভিহিত করা হয়ে থাকে। আপনি এ সাইটে কোন লেন্স পাবলিশ করলে তখন নিশের সঙ্গে মিল রেখে বিজ্ঞাপন ঐ পেজে প্রদর্শিত হবে।আপনার লেন্সে ঐ বিজ্ঞাপনগুলি প্রদর্শনের মাধ্যমে স্কুইডো যে পরিমান অর্থ আয় করবে তার অর্ধেক আপনাকে পেপাল বা অন্যান্য মাধ্যমে দেওয়া হবে৷
এই সম্পর্কে আপনার কোন মন্তব্য থাকলে কমেন্ট করে জানান। জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
আরো জানতে ঃ What is blog ব্লগ কি? ব্লগিং কি? কিভাবে একটি ফ্রি ব্লগ তৈরি করবেন
ব্লগ থেকে কিভাবে আয় করা যায় | ব্লগ থেকে টাকা আয় করার সেরা 10 টি উপায়