ব্লগ থেকে কিভাবে আয় করা যায় | ব্লগ থেকে টাকা আয় করার সেরা 10 টি উপায় | Earn Money From Blogging 2022
ব্লগার থেকে টাকা আয় করার উপায় খুঁজছেন? এখন আমরা যেহেতু ব্লগ থেকে টাকা আয় করার উদ্দেশ্যেই ব্লগিং শুরু করি, তখন এই চিন্তা আসাটা অস্বাভাবিক নয়। ব্লগ এখন শখ নয়, পেশা হিসেবে নিচ্ছে সবাই, অর্থাৎ ব্লগ তৈরি করে আয় করাই প্রধান উদ্দেশ্য। তাই ব্লগ থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়, কিংবা ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় এই প্রশ্নগুলোও প্রতিদিন অনেক ব্লগারের মনে আসছে।
অনেকে ব্লগ থেকে কত উপায়ে ইনকাম করা যায়, তা না জানার কারণে আয় করতে পারছেননা। আবার অনেকের ভিজিটরস না থাকায় করতে পারতে পারছেনা।
দ্বিতীয় সমস্যা অর্থাৎ ব্লগে ভিজিটরস বৃদ্ধি করার উপায় এবং কিভাবে ট্রাফিক ধরে রাখা যায়, তার জন্য অনপেজ এসইও এবং আর্টিকেল লেখার নিয়ম নিয়ে আলোচনা করব।
আমাদের আজকের আলোচনায় ব্লগার থেকে টাকা আয় করার উপায় নিয়ে ১০টি পথ বের করবো ইন’শা-আল্লাহ।
{tocify} $title={Table of Contents}
ব্লগার থেকে কি উপার্জন করা যায়?
অবশ্যই আজকের ব্লগিং করার বিষয়টি হলোঃ যে ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়? কাজেই বুঝতেই পারছেন, ব্লগিং করে অবশ্যই উপার্জন করা সম্ভব। ব্লগার অর্থাৎ গুগলের ব্লগিং প্লাটফর্মে একটি ব্লগ সাইট তৈরি করে, প্রতিনিয়ত লেখালেখি করে উপার্জন করা যাবে। সেখানে আপনার উপার্জন আপনার ব্লগ সাইটে ভিজিটর আসার পরিমাণের উপর নির্ভর করবে।
ব্লগিং এবং ইনকামের সাথে একটি কথা প্রচলিত আছে, ট্রাফিক = ইনকাম। অর্থাৎ ইনকাম করার জন্য ব্লগে ট্রাফিক আসতে হবে।
ব্লগ থেকে আমি কত টাকা আয় করতে পারবো?
প্রথম শর্ত ছিলো ব্লগে ট্রাফিক নিয়ে আসা যে বিষয়ে আমরা ইতিমধ্যে জেনে নিয়েছি। একজন ব্লগার তার ব্লগ থেকে কত টাকা আয় করেন এই এমাউন্ট আরো কিছু বিষয়ের উপর নির্ভর করে। যেমনঃ
- ব্লগের ভাষা
- ব্লগ নিস
- ট্রাফিক সোর্স
বাংলায় একটি প্রথম শ্রেনীর ব্লগ মাসে যদি ৫০০০ ডলার আয় করে, একই ধরনের একটি ইংরেজি ব্লগ প্রতিমাসে মিনিমাম ৪০০০০ ডলার আয় করতে পারে ( শুধুমাত্র এড নেটওয়ার্ক থেকে আয়)।
এর কারণ, বাংলায় গুগল এডসেন্স থেকে উপার্জন খুবই কম। যেখানে বাংলায় গড় সিপিসি ০.০৩-০.০৫ ডলার, সেখানে ইংরেজিতে সর্বোচ্চ ১৫০ডলারও পাওয়া যায় একটিমাত্র এড ক্লিকে।
বাংলায় যে সিপিসি পাওয়া যায়, সেটিও নির্ভর করে ব্লগের টপিকের উপর। অনলাইন ইনকাম, টেকনোলজি, প্রবাসী নিউজ নিশ অন্যান্য ব্লগ টপিকের চেয়ে বেশি সিপিসি পেয়ে থাকে।
ইংরেজি ব্লগ থেকে আয় করবেন কারা?
এখন আপনি কি বাংলা ব্লগের থেকে নয়, বরঞ্চ ইংরেজি ব্লগ থেকে আয় করতে চাইছেন? কারণ ইংরেজি ব্লগ সাইটে অনেক বেশি আয় হয়। তাছাড়া ইংরেজি ব্লগ থেকে ট্রাফিক জেনারেট সহজ। ইংরেজি আর্টিকেল লিখতে জানেন? আপনার জন্য তাহলে ইংরেজি ব্লগ সাইট হবে সর্বোত্তম।
কারণ সেখান থেকে একইভাবে এ দেশের ট্রাফিক আনতে পারবেন। পুরো বাংলাদেশ সহ পুরো পৃথিবীতে ইংরেজি লেখালেখি পড়া হয়। একইভাবে ইংরেজি ব্লগ সাইটগুলোর থেকে ১০ গুণ বেশি আয় আসবে এটাই স্বাভাবিক।
ইংরেজি ব্লগিং করে মাসে ৫০০ ডলার থেকে ২০০০ ডলার উপার্জন করা মোটেও কঠিন কিছু নয়। আপনার ব্লগ সাইট যদি সফলতা লাভ করে, ভালো ট্রাফিক জেনারেট করতে সক্ষম হয়। পাশাপাশি কিছু কন্টেন্ট সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজ হয়ে যায়। মানে হলো গুগলের প্রদর্শন করে।
তবে সেখান থেকে মাসিক ১০০০ ডলার উপার্জন যাবে এটাই স্বাভাবিক।
ইংরেজি ব্লগাররা ব্লগিং করে কত টাকা আয় করে?
ইংরেজি ব্লগ থেকে কত আয় করতে পারেন?
ধরুন আপনি একটি ইংরেজী ব্লগ সাইট শুরু করলেন। এবং সেখানে রীতিমতো ভালো ভালো ব্লগ পোষ্ট লিখেছেন। এবং ব্লগে যদি আপনি দৈনিক ২০০০ কিংবা ৫০০০ ট্রাফিক জেনারেট করতে পারেন। তবে মাসে ৫০০ ডলার উপার্জন করতে পারবেন।
আর সেই ৫০০ ডলার উপার্জন করা শেষে প্রথম বছরে আপনি যেটা নিবেন সেটা হল আপনার উপার্জন হবে। পরবর্তীতে দুই থেকে তিন বছর পার করে আপনি মাসে ২০০০ থেকে ৩০০০ ডলার উপার্জন করতে পারবেন। অবশ্যই অডিয়েন্স নির্ভরশীল। আপনাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
ইংরেজি ব্লগ সাইটে আপনার অডিয়েন্স পুরো পৃথিবী জুড়ে। আপনার উপার্জন অনেকটা নির্ভরশীল। আপনি যদি মাসিক ১,০০,০০০ পেজভিউ নেন, তবে সর্বনিম্ন ১০০০ ডলার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২৫,০০০ ডলার পর্যন্ত উপার্জন হবে।
কিভাবে ব্লগ থেকে টাকা আয় করা যায়?
এমনিতেই ব্লগিং থেকে টাকা ইনকাম করার ১০০ টিরও বেশী উপায় রয়েছে কিন্তু নিচে আমি আপনাদের সেই সমস্ত উপায়গুলোর সম্বন্ধে বলব যেগুলো আপনাকে অধিক পরিমাণে টাকা ইনকাম করার সুযোগ দেবে
এছাড়া যদি আপনি আপনার একটি নিজস্ব ফ্রী ব্লগার ব্লগ না তৈরি করে থাকেন তাহলে এখনি তৈরি করে নিন
ব্লগার থেকে টাকা আয় করার উপায় অনেক রয়েছে। তবে টেক নিশ নিয়ে যারা কাজ করেন, তাদের জন্য আয়ের উৎস বাকী সবার থেকে বেশি। আমরা এখানে সেসব উপায় নিয়ে আলোচনা করবো যেগুলো সবার পক্ষেই করা সম্ভব হবে।
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা কথা বলবো ব্লগ থেকে টাকা ইনকাম করার ১০ টি লাভজনক উপায় সম্বন্ধে
০১. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার চিন্তা করে যেমন কিছু ব্লগার ব্লগিং শুরু করেন, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটও তেমনি একটা ব্লগিং ইনকাম সোর্স।
সারা পৃথিবীব্যাপী প্রচুর ব্লগার রয়েছেন, যারা শুধুমাত্র অ্যামাজন, আলীবাবা, Ebay এসব ই-কমার্স সাইটে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের সাথে কাজ করার জন্য ব্লগিং শুরু করেছেন।
তবে আপনাকেও তাই করতে হবে এমন কোনো কথা নেই। বরং অন্য ইনকামের পাশাপাশি ব্লগে অ্যাফিলিয়েটিং করতে পারেন।
তবে বাংলায় ব্লগিং করলে এসব ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রামে যোগ না দেওয়াই ভালো। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার জন্য বেছে নিতে পারেন বাংলাদেশী এফিলিয়েট প্রোগ্রাম।
০২. বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক থেকে আয়
ব্লগিং করে আয় এবং বিজ্ঞপন নেটওয়ার্ক একে অপরে সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কারণ যেকোনো ব্লগে আয় করার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য এবং সহজ উপায় হলো বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয় করা।
ব্লগে কোনো বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্কের এপ্রুভাল পেলেই আপনার আর কোনো কাজ করতে হবেনা। এড কোম্পনীই আপনার ব্লগে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আপনার একাউন্টে টাকা জমা করতে থাকবে।
জনপ্রিয় এড নেটওয়ার্কগুলো হলো:
- Google Adsense
- Ezoic.com
- Media.net
তবে সর্বাধিক জনপ্রিয় এডসেন্স। অনেকে ব্লগিং শুরুই করেন এডসেন্স থেকে ইনকাম করার জন্য। একটি গুগল এডসেন্স একাউন্ট খোলার পর আপনার ব্লগের জন্য আবেদন করতে হবে।
ব্লগটি এডসেন্স নিয়ম-নীতি মেনে শুরু করা হলে গুগল এডসেন্স এপ্রুভাল খুব সহজেই পাওয়া যায়। বাংলায় ব্লগিং করলে মিডিয়া ডট নেট এর এপ্রুভাল পাবেননা কিন্তু Ezoic এ পাওয়া যায়।
তবে Ezoic.com এবং Media.net দুটোতেই Google Adsense এর চেয়ে ইনকাম বেশি হয়। সমস্যা হলো এই দুইটি নেটওয়ার্কেই এপ্রুভাল পাওয়ার জন্য যথেষ্ট ট্রাফিক প্রয়োজন ( মাসে দশ হাজারের বেশি )।
এছাড়াও ব্লগে বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য আরো অনেক এডসেন্স বিকল্প রয়েছে। সেই সাথে রয়েছে বাংলাদেশী এড কোম্পানী BDADVERISE.
০৩. ই-কমার্স (eCommerce)
পণ্য বিক্রি করতে যেমন দোকান লাগে, ই-কমার্সেও তা-ই। একটি ই-কমার্স সাইট এখানে দোকান হিসেবে কাজ করে। তাই ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করতে প্রথমেই বেচাকেনার একটা সাইট বানাতে হবে। ওয়েবসাইট তৈরীর প্রধান উদ্দেশ্যগুলোর মধ্যে একটি হলো নিজের ব্যবসার প্রসার ও পরিচিতি। আপনি ছোট-বড়, খুচরা-পাইকারি যেকোনো ধরনের ব্যবসায়ী হোন না কেন। আপনার যদি বিক্রয়যোগ্য প্রোডাক্ট বা সার্ভিস থাকে। সেক্ষেত্রে ই-কমার্স ওয়েবসাইট নিশ্চিতভাবে আপনার ব্যবসার প্রসার ঘটিয়ে আপনার আয় কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেবে।
০৪. ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি
প্রযুক্তির যুগে ফিজিক্যাল প্রোডাক্টের পাশাপাশি ডিজিটাল প্রোডাক্টেরও অভাব নেই। তাই এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আপনার ব্লগ থেকে সহজেই বেশ কিছু টাকা ইনকাম করে নিতে পারেন। কিছু জনপ্রিয় ডিজিটাল প্রোডাক্ট হলো:
- ব্লগ থিম ( ব্লগার, ওয়ার্ডপ্রেস )
- রেডি ওয়েবসাইট
- ই-বুক
- সফটওয়্যার ও গেমস
- পুরাতন ডোমেইন, ইত্যাদি
০৫. অনলাইন কোর্স তৈরি করে
আজকের সময়ে অনলাইন কোর্স এর ডিমান্ড সবথেকে বেশি আজকের সময়ে এই অনলাইন কোর্স বানানো অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে শুধুমাত্র আপনাদের সঠিক টুলস আর টেকনোলজি এর সম্বন্ধে তথ্য জানতে হবে
বর্তমান প্রতিযোগিতার এই বাজারে টিকে থাকার তিনটি উপায় স্কিল, স্কিল এবং স্কিল! পারফরম্যান্স বৃদ্ধি করতে এবং ক্যারিয়ারে উন্নতির জন্য সফট স্কিল ও হার্ড স্কিল অর্জন করার বিকল্প নেই।
আপনারও যদি এমন প্রয়োজনীয় কোনো স্কিল থাকে তবে তা মানুষের সাথে শেয়ার করার জন্য বেছে নিতে পারেন আপনার ব্লগ প্লাটফরমকে।
অনলাইন কোর্স অফার করে ব্লগ থেকে অনেকেই টাকা ইনকাম করছেন। অনলাইন কোর্সের উপরই দাড়িয়ে আছে কিছু কিছু ব্লগ ও ওয়েবসাইট।
কিছু জনপ্রিয় অনলাইন কোর্স আইডিয়া:
- ইংলিশ লার্নিং
- কম্পিউটার ব্যাসিক
- এসইও
- ডিজিটাল মার্কেটিং
- ওয়েব ভেভেলপমেন্ট
- ওয়েব ডিজাইন, ইত্যাদি।
নিচে আমি আপনাদের কিছু এমন প্ল্যাটফর্ম সম্বন্ধে বলেছি যেগুলো ব্যবহার আপনারা কোর্স বানানো আর বিক্রি করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন
- LearnDash
- New Kajabi
- Teachable
০৬. লোকাল বিজ্ঞাপন
ব্লগার থেকে টাকা আয় করার উপায় হিসেবে লোকাল বিজ্ঞাপন অন্যতম প্রসিদ্ধ। বিভিন্ন কোম্পানী এবং প্রতিষ্ঠান তাদের প্রচারের জন্য জন্য বিভিন্ন জনপ্রিয় প্লাটফর্মে লোকাল বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে।
এই উপায়ে ব্লগ থেকে ইনকাম যেমন অনেক বেশি, একইসাথে দরকার হবে প্রচুর ট্রাফিক। লোকাল বিজ্ঞাপন পাওয়ার জন্য প্রয়োজন ব্লগের জনপ্রিয়তা।
আপনার ব্লগে যখন অনেক বেশি ট্রাফিক আসবে, জনপ্রিয়তা পাবে তখন আপনি কোম্পানীগুলোকে প্রস্তাব দিতে পারেন এবং একটা সময় তারা নিজেরাই আপনাকে এসে অফার করবে।
০৭. গেস্ট ব্লগিং
নতুন ব্লগাররা ডোমেইন অথরিটি এবং জনপ্রিয়তা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন জনপ্রিয় ব্লগ থেকে ব্যাকলিঙ্ক নেওয়ার জন্য গেস্ট ব্লগিং করে থাকে। অর্থাৎ তারা আপনার ব্লগের জন্য একটি আর্টিকেল লিখবে এবং সেখানে তার সাইটের একটি লিঙ্ক যুক্ত করবে।
আপনার ব্লগ থেকে পাওয়া একটি লিঙ্ক তার জন্য অত্যন্ত মূল্যবান। তাই আপনি এর বিনিময়ে বেশ ভাল এমাউন্ট চার্জ করতে পারবেন। এই আর্টিকেলটি আপনার ব্লগের জন্য স্পন্সরড পোস্ট।
০৮. পেইড রিভিউ
যারা টেকনোলজি নিশ কিংবা রিভিউ টপিক নিয়ে ব্লগিং করেন তাদের ব্লগিং করে টাকা আয় করার এটা ভাল উপায়। অনেক অনলাইন শপ, ফেসবুক শপ থেকে প্রোডাক্ট রিভিউ করার জন্য যোগাযোগ করে।
তাদের প্রোডাক্টগুলো রিভিউ করে ভিজিটরসদের জন্য একটা লিঙ্ক দিতে হয়। এই লিঙ্কের জন্যই মূলত টাকাটা পাবেন।
তবে সতর্ক থাকবেন, ভিজিটরস যেন বুঝতে না পারে, আপনি টাকার জন্য রিভিউ করছেন। অর্থাৎ আপনার রিভিউ করা প্রোডাক্ট যেন সত্যিই ভালো হয়, ক্রেতা যেন হতাশ না হয়।
০৯. অনলাইন সার্ভিস
যদি আপনাদের মনে হয় আপনাদের নিজেদের কাছে কোন দক্ষতা রয়েছে যেগুলো অন্যদের প্রয়োজন তখন আপনারা সেই ধরণের সার্ভিস অন্যদের দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন
উদাহরণ স্বরূপ
আপনারা বিভিন্ন ধরনের সার্ভিস প্রদান করতে পারেন যেমন ধরুন কনটেন্ট রাইটিং, লোগো ডিজাইন, SEO, সাইট অপটিমাইজেশন ইত্যাদি যদি আপনারা এই ধরনের সার্ভিস দেওয়া শুরু করতে চান তাহলে শুধুমাত্র আপনাদেরকে আপনার সার্ভিসের লিস্ট আপনার ব্লগে অফার করতে হবে এমন জায়গায় শেয়ার করতে হবে যেখানে ভিজিটরদের সহজেই লক্ষ্য যায় যদি আপনারা একবার এটি শুরু করে দেন তখন আপনারা এটিকে সহজেই বুঝতে পারবেন
১০. ব্লগ বিক্রি করে আয়
যদি আপনারা ব্লগ বানাতে জানেন আর যদি আপনারা কিছু কিওয়ার্ডে সহজেই রেংক করাতে পারেন তাহলে এই ক্ষেত্রে আপনারা চাইলে আপনাদের ব্লগকে Flippa তে বিক্রি করতে পারেন
Flippa.com এমন একটি প্লাটফর্ম যেখানে আপনারা খুব সহজেই যে কোন ব্লগকে বিক্রি করতে পারেন এখানে আপনার ব্লগের credibility অনুসারে buyers পেয়ে যাবেন আর যদি আপনাদের ব্লগে এডসেন্স অ্যাপ্রভাল থাকে তাহলে আপনারা ভালো পরিমাণে টাকা আয় করতে পারবেন .
ব্লগ থেকে আয় শুরু হতে কত সময় প্রয়োজন হয়?
ব্লগ থেকে আয় বিশেষ করে বাংলা ব্লগ থেকে টাকা আয় শুরু হওয়ার জন্য একটু সময় প্রয়োজন হয়। বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয় করতে চাইলে একমাসের মধ্যেই অ্যাডসেন্স এপ্রুভাল পাওয়া যায়।
কিন্তু যেহেতু গুগল এডসেন্স ১০০ডলার না হলে পেমেন্ট দেয়না, তাই প্রথমবার এই টাকা হাতে পেতে ৩মাস বা তারও বেশি লেগে যায়।
যখন মাসিক ৩০ হাজার বা তার বেশি ভিজিটরস থাকবে, তখন প্রতিমাসেই ব্যাংক একাউন্টে টাকা চলে আসবে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ও কোর্স ছাড়া অন্যান্য উপায়ে আয় করার জন্য আরো বেশি সময় প্রয়োজন হতে পারে। প্রতিমাসে ১লাখ ইউনিক ভিজিটরস পাওয়া শুরু হলেই আপনার ব্লগটি সবগুলো উপায়ে আয় করতে শুরু করবে।
ইংরেজি ব্লগারদের টাকা আয় করার জন্য এতো দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবেনা, যদি আপনার মোটামোটি ট্রাফিক আসে। আরো ভালো হয় যদি কানাডা, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়ার ভিজিটরস পান তাহলে হয়তো শুরুর দিকেও প্রতিমাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা ব্লগ থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
কিভাবে ব্লগ থেকে টাকা আয় করা যায়, ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় তা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। ব্লগ তৈরি করে টাকা আয় করার আরো একটি সবচেয়ে সহজ উপায় হলো বিভিন্ন সাইটে রেফার করা। যেমন- স্টক ফটো সাইট, ফ্রিল্যান্সিং সাইট, বিকাশ অ্যাপ, ইত্যাদি।
এসবের বাইরেও ব্লগার থেকে টাকা আয় করার উপায় রয়েছে, কিন্তু এগুলোকে কাজে লাগানোর জন্য প্রয়োজন মেধা, পরিশ্রম এবং ধৈর্য্য।
ব্লগে সময় এবং মেধা দিন, ভবিষ্যতে ব্লগ আপনাকে অর্থ দিবে। ফ্রি ব্লগার সাইট তৈরি টাকা ইনকাম শুরু করতে এখন নিশ্চয়ই আর কোনো সমস্যা নেই।
কোনো সমস্যা মনে হলে, কিংবা ব্লগ দিয়ে আয় করার অন্য কোনো ভাল উপায় জানা থাকলে আমাদের সাথে শেয়ার করতে ভুলে যাবেন না, এই সম্পর্কে আপনার কোন মন্তব্য থাকলে কমেন্ট করে জানান। জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
আরো জানতে ঃ What is blog ব্লগ কি? ব্লগিং কি? কিভাবে একটি ফ্রি ব্লগ তৈরি করবেন
ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর ২০ টি উপায় | How to increase website traffic